বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের কটকার খালে নিরাপদ আশ্রয় নেয়া ফিশিংবোটের জেলেদের মামলার ভয় দেখিয়ে বনরক্ষীরা ৩৯ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিকাশের মাধ্যমে ফিশিংবোট প্রতি ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
হাতিয়ার ফিশিংবোট ‘এফবি রাব্বি’ এর মাঝি মাইনুদ্দিন, ভোলার সামরাজ এলাকার ফিশিংবোট এফবি ‘ওমর’এর মাঝি হোসেন এবং এফবি ‘মেহেদি হাসানের’ মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে হাতিয়া, ভোলা ও চট্রগ্রাম এলাকার ১৩ ফিশিংবোট শুক্রবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের খালে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করি।
শনিবার সকালে কটকা ফরেষ্ট অফিসের বনরক্ষীরা আমাদের তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে সুন্দরবনে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগ এনে মামলার ভয় দেখিয়ে ট্রলার প্রতি ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। অনেক অনুনয় বিনয় করে তাদেরকে বনরক্ষীদের দেওয়া ০১৭৫৯৯২৫১৫১ নং বিকাশের মাধ্যমে ট্রলার প্রতি তিন হাজার টাকা করে দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন বলে অভিযোগে জানান।
হাতিয়ার রহমত বাজার এলাকার ফিশিংবোট এফবি রাব্বির মালিক মাষ্টার মাইনুদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, হাতিয়ার বাংলাবাজারের বিকাশ দোকানের নং ০১৭৪৬৬৭৯৯৩৮ থেকে তিনি বনরক্ষীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৩০৬০ টাকা পাঠিয়েছেন।
অপরদিকে,সুপতি ষ্টেশনের ঘাটে আশ্রয় নেওয়া পাথরঘাটা এলাকার ২৮/৩০টা ফিশিংবোট থেকে বনরক্ষীদের ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদিক মাহমুদ বলেন, কটকা এলাকার খালে কয়েকটি ট্রলার এসেছিলো। তারা আবার চলে যায়। জেলেদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই