বাগেরহাটের কচুয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এ সময়ে ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাখালী গ্রামের গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি এবং তার ছোট ভাই সুলতান আলমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে এখনও আটক করতে পারেনি।
গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও তার ছোট ভাই সুলতান আলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক। তারা দুই ভাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার। এছাড়া গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য।
আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার সুলতান আলম ওরফে আলম বালি বলেন, সোমবার রাত দুইটা পাঁচ মিনিটের দিকে মুখোশধারী সশস্ত্র সাতজনের ডাকাত দল আমার একতলা বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করে আমার নাম ধরে ঘুম থেকে ডেকে উঠায়। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওড়না ও গামছা দিয়ে আমাকে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ের হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ অর্থ, সোনার গহনা ও তিনটা মোবাইলফোনসেট নিয়ে নেয়। এরপর ডাকাতদল আমাকে নিয়ে মায়ের ঘরের সামনে নিয়ে যায়।
সেখানে আমাকে অস্ত্রেরমুখে মাকে ডাকতে বাধ্য করে। পরে মা দরজা খুললে সেখান থেকে গহনা ও নগদ টাকা নেয়। এরপর আমাকে ও মাকে নিয়ে বড় ভাই আজাদ বালির রুমের সামনে নিয়ে মা অসুস্থ বলে ডাকতে বাধ্য করে । এসময় বড় ভাই দরজা খুললে সকলের হাত-পা বেধে অর্থ ও গহনা লুটে নেয় তারা। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পরপরই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আমরা দুইভাই ঠিকাদারি করি। শ্রমিকদের বেতন দিতে সব সময় বাড়িতে কমবেশি টাকা রাখতে হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন এই ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার গভীর রাতে সাত আটজনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল দুই সহোদর ঠিকাদার আজাদ বালি ও আলম বালির বাড়ির গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে সবাইকে হাত পা বেঁধে ফেলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল তদন্ত শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড