বাগেরহাটের কচুয়ায় দুই ট্রাক চোরাই কয়লা জব্দের দুইদিন পরে থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাসমিনা খাতুনের নির্দেশে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার রায় বাদী হয়ে ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমন (৩২)কে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার আসামী আঃ ছালাম সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাগেরহাটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওসমান গনি ওই ব্যবসায়ীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১২ জুন) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কচুয়া উপজেলার বাধাল-কচুয়া সড়কের বক্তারকাঠী নামক স্থান থেকে কয়লা বোঝাই ট্রাক দুটি জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। সেই সাথে কয়লার ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কারাগারে প্রেরিত ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমন কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ধলু শেখের ছেলে। বাধাল বাজারে তার সারসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।
এদিকে কয়লা জব্দের দুই দিন পরে মামলা হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা ও একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হয়েছে।
তবে প্রশাসনের দাবি কয়লা ক্রয়ের কাগজ দেখানোর জন্য ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমনকে সময় দেওয়া হয়েছিল।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা কয়লা বোঝাই ট্রাক ও এক ব্যবসায়ীকে আটক করি। যাচাই-বাচাই শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীর নামে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাসমিনা খাতুন বলেন, ব্যবসায়ী আঃ ছালাম সুমন কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কয়লা ক্রয় করে এনেছে বলে জানান। কিন্তু ক্যাশমেমো বা কয়লা ক্রয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। কোথা থেকে ক্রয় করেছেন তাও জানাতে পারে নাই। ট্রাক চালকদের বক্তব্যও ছিল সন্দেহ জনক।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী সুমন যখন কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তখন থানায় মামলা প্রদানের জন্য আদেশনামা পাটানো হয়েছে। তারপরে মামলা দায়ের পূর্বক থানা পুলিশ ব্যবসায়ীকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড