ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। গণনা ১৯ অক্টোবর। গতকাল রোববার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।
গান্ধী পরিবারের কেউ দলের সভাপতির দায়িত্ব নিতে চান না। ফলে এবার গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতির আসনে বসতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই।
অবশ্য গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতারা সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধীকেই চাইছেন। কিন্তু, তাকে এখনও রাজি করানো যায়নি। কথা ছিল ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করো হবে। কিন্তু রাহুল গান্ধী শেষ পর্যন্ত রাজি না হওয়ার কারণে পিছিয়ে গেল নির্বাচন।
শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধীও তার সঙ্গে রয়েছেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল। তারপর থেকেই স্থায়ী সভাপতি পায়নি কংগ্রেস। অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া।
এদিকে এরইমধ্যে প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ ও তার ঘনিষ্ঠ নেতারা সম্প্রতি দল ছেড়েছেন রাহুলের ওপর ক্ষোভ দেখিয়ে। রাহুলের সভাপতিত্ব নিয়ে কংগ্রেসের একটি অংশে তীব্র অসন্তোষও রয়েছে।
রাহুল যদি কংগ্রেসের সভাপতি না হন তাহলে কি গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ হচ্ছেন দলের সভাপতি? এ নিয়ে আলোচনা রয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। গান্ধী পরিবারের বাইরের কারও মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নাম এসেছে।
তবে এ বিষয়ে অশোক কয়েকদিন আগে বলেছিলেন- যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি না হন, তবে দেশের সমস্ত কংগ্রেস কর্মীই আশাহত হবেন। বহু কর্মী বাড়িতে বসে যাবেন, এর ফলে দলেরই ক্ষতি হবে। উনার উচিৎ কংগ্রেস কর্মীদের অনুভূতির প্রতি মর্যাদা রেখে নিজে থেকেই এই দায়িত্ব নেওয়া। দলের সবাই চান রাহুল গান্ধীই সভাপতি হোক। তাই আমার মনে হয় উনার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা উচিত। এটা গান্ধী বা অগান্ধী পরিবারের বিষয় নয়, এটা সংগঠনের কাজ এবং এতে কেউ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন না।