হয় ৫০ হাজার টাকার তোলা দিতে হবে, নইলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।ঠিক এই ভাবে খুনের হুমকি দেওয়া হল ভারতের উচ্চাঙ্গসংগীতের আইকন ও প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ আলি খান ও তার পরিবারকে।
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে উত্তরপ্রদেশের আমরোহ জেলার কৌরালা গ্রাম থেকে দীপক আওলাখকে(২০) গ্রেপ্তার করে কলকাতায় আনে। এই তোলাবাজ চক্রের হদিস পেতে লালবাজারে ধৃত দীপককে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। দীপক রশিদ আলি খানের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতো। সপ্তাহ খানেক কাজ করে সে চম্পট দেয় । তারপর উত্তরপ্রদেশের গ্রাম থেকে রশিদ খানের বড় মেয়ের মোবাইলে ইন্টারনেট ভয়েস মাস্কিংয়ের সাহায্যে ফোনে হুমকি দেয় তোলা চেয়ে।সংস্কৃতির পীঠস্হান কলকাতায় কোনো শিল্পীকে খুনের হুমকি ও তোলা চেয়ে ফোনের ঘটনা এই প্রথম।এরপর কলকাতার নেতাজীনগর থানায় রশিদ খানের পরিবারের তরফ থেকে এফআইআর করা হয় । কলকাতা পুলিশ প্রথমে রশিদ খানের গাড়ির চালক অবিনাশকুমার ভারতীকে জেরা করে। তবে তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এবার কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখার একটি টিম মোবাইলের সূত্র ধরে পৌঁছে যায় উত্তরপ্রদেশে। সেখানে রশিদ খানের বাড়ির পরিচারক দীপক আওলাখকে গ্রেপ্তার করে এবং কলকাতায় আনে।
এই ঘটনায় টলিউড ও বলিউডের কলাকুশলীরা তীব্র নিন্দা করেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন , এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হবে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। বামফ্রন্টের চেয়ার বিমান বসু, সিপি আই, সিপিআই এম সহ বাম দলগুলির রাজ্যসম্পাদক ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই