স্কুল ও ক্লাস্টারের (গুচ্ছ) গন্ডি পেরিয়ে উপজেলা সেরা তাঁরা। এরপর জেলায় প্রতিযোগিতা। জেলা ও বিভাগ ছাড়িয়ে তাঁরা হতে চান দেশ সেরা। ক্ষুদে এই প্রতিযোগিদের সকলেই বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গত ১৫ নভেম্বর (সোমবার) উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদা উপলক্ষে উপজেলা পর্যায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কুইজ, রচনা, সংগীত, নৃত্য ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে এ ৫টি বিষয়ের মধ্যে তাঁরা তিনজন ৪টি বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। চারটির মধ্যে তাঁরা তিনটিতে প্রথম স্থান ও একটিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সামনে তাঁরা বাগেরহাট জেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। সেই ক্ষুদে তিন প্রতিযোগিকে নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
তৌফিক রহমান হিমেল : বাবা মো. সাহেব আলী ফরাজী। মা আইরিন সুলতানা। হিমেল সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী। তাঁর ক্লাস রোল নং-১। সে কুইজ প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে সেরা হয়েছে।
দীঘি রানা : বাবার নাম অশোক রানা। মা শিমু বাইন। দীঘি ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে নৃত্য প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে সেরা এবং সংগীতে দ্বিতীয় হয়েছে।
সাকিবুর রহমান রাব্বি : বাবার নাম সফিকুর রহমান তালুকদার। মা মর্জিনা বেগম। রাব্বিও ওই স্কুলের ৫ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী। সে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে সেরা হয়েছে।
হিমেল, দীঘি ও রাব্বি বলেন, এরপর আমাদের জেলায় প্রতিযোগিতা জেলা ও বিভাগ ছাড়িয়ে আমরা দেশ সেরা হতে চাই।
অভিভাবকদের মধ্যে শিমু বাইন, আইরিন সুলতানা ও মর্জিনা বেগম জানান, সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যানী রানী বাড়ই, সহকারি শিক্ষক কাবেরী দেবনাথ, আরিফা সুলতানা, লিলি মজুমদার, জাকিয়া খানম ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী বিশ্বজিৎ বসু সকলেই শিক্ষার্থী ও স্কুলের প্রতি আন্তরিক। অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকদের চেয়ে তারা মনে প্রাণে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে চান।
মঙ্গলবার দুপুরে সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যানী রানী বাড়ই বলেন, এই স্কুলটি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ১২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটিকে আমরা স্বপ্নের বিদ্যালয় ও মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পড়াশুনার পাশাপাশি এখানে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সুরশাইল ক্লাস্টার এস এম আলী আকবর বলেন, অন্যান্য স্কুলের তুলনায় সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এগিয়ে। সাংস্কৃতি বিকাশে তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সুরশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এ গ্রেডে রয়েছে। তাঁদের সাংস্কৃতি বিকাশ সবার নজর কেড়েছে। ওই স্কুলের একাডেমিক ভবন দুর্বল রয়েছে। ভবন নির্মাণ হলে স্কুলটিকে আরও সাজানো হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই/এমএম