রান্নাঘরের মশলা কালোজিরা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীর থেকে অনেক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। স্বাদে সামান্য তিতা হলেও হাজারো রোগের চিকিৎসায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কালোজিরা।
কালোজিরা বিভিন্ন রকমভাবে ব্যবহার করা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। এটি ওজন কমানোর জন্যও দারুণ কার্যকরী।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে। এটি জয়েন্টের ব্যথাতেও উপকারি এবং এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে দারুণ কার্যকরী। এটি নিয়মিত খেলে শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
চিকিৎসকরা আরও জানান যে, কালোজিরা একটি গ্লাসে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন৷ তারপর সকালে উঠে তা ছেকে খেয়ে নিন৷ সকালে খালি পেটে এই পানি খেলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে, শরীরও হবে চাঙ্গা।
কালোজিরায় থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় কালোজিরা। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কালোজিরা।
কালোজিরায় থাকা সক্রিয় উপাদানগুলো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ভালো থাকবে লিভার।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে কালোজিরা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি দূর করতে পারে এটি। আবার কালোজিরার তেল ইনহেলেশন অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়।
কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
এ ছাড়া তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি কমে যায়।
খুলনা গেজেট/ এএজে