নগরীর ইস্টার্ণগেট ট্রিপল মার্ডারে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন আটরা-গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম। অন্যদিকে, আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক মশিয়ালী মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে খোলা হয়েছে আর্থিক সহায়তা ক্যাম্প। এভাবে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন স্থানীয়রা। ঐক্যের অনন্য নজির স্থাপন করলো ইস্টার্ণগেটবাসী।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ১৬ জুলাই স্থানীয় নিরীহ শ্রমিক মজিবুর রহমানকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশে সোর্পদ করায় ঐক্যবদ্ধ এলাকাবাসী চিহিৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসী শেখ জাকারিয়া ও তার ভাইয়ের গুলিতে নিহত হন তিনজন এবং জখম হন আরও ৮-১০জন। পরে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হন জাকারিয়ার সহযোগি জেহাদ নামের এক যুবক। এঘটনার পর জাকারিয়াদের বাড়ীতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে, নিহত তিন পরিবারকে আটরা-গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম প্রতি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহনের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। আজ সোমবার মশিয়ালীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তিন ও আহতদের বাড়িতে গিয়ে এ প্রতিশ্র“তি দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য বখতিয়ার পারভেজ, হুমায়ুন কবির, মাহমুদ হাসান, আঃ সত্তার মোল্যা, মোঃ আঃ সালাম গাজী, কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, ইউপি সদস্য শেখ আব্দুস সালাম, শেখ শাহিনুর রহমান, মীর আব্দুর রউফ, তোফাজ্জেল হোসেন, আসাদ, মামুন, সাইফুল , মিঠুন, বাবুল শেখ, সৈয়দ বনি আহম্মেদ, হেদায়েত, তপন, বাবু, রিপন, গাজী গিয়াসউদ্দিন, শেখ আল আমিন, রুম্মান, টিক্কা খান, হায়দার আলী, মনিরুল খান ও মিন্টু খান প্রমুখ ।
অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ হয়ে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮জনের চিকিৎসায় ও পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য মশিয়ালী মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে খোলা হয়েছে আর্থিক সহায়তা ক্যাম্প।
স্থানীয়রা জানান, করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় হতাহতদের পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে আর্থিক ক্যাম্প খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সোমবার বিকেল থেকে এলাকাবাসীর উদ্যোগে খোলা ক্যাম্পে যার যার সামর্থ্য মতো অর্থ দেন। এসময়ে একে-পরকে বলতে শোনা যায়, বর্তমান সময়ে ইস্টার্ণগেটবাসীর মতো এমন ঐক্য বিরল।
খুলনা গেজেট/এআইএন