বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ বীর বিক্রম বলেছেন, ২০ দলীয় জোটভূক্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নামতে পারলে এ সরকারকে বিতাড়িত করা সম্ভব হবে। একাত্তরে দেশের যুবকরা সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জানিয়ে রণাঙ্গণের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আজকের যুবকদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আওয়ামী লীগকে শেষবারের মতো মোকাবেলা করার আহবান জানান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতা মেজর হাফিজ এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বও গণতন্ত্র সুরক্ষায় শহীদ জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান, রণকৌশল, যুদ্ধ পরিকল্পনায় অসামান্য দক্ষতা এবং রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সততা, সাহস, দেশপ্রেম ও অতি সাধারণ জীবন যাপনের নানা বিবরণ তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির শিকার হয়েছে। আমাদের মতো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবন উৎসর্গের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে কাহিনী ইতিহাসে লেখা নেই। মেজর জিয়ার বিদ্রোহ ঘোষণা এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধ শুরুর কারণে স্বাধীনতার সূচনা হয়েছিল। নাহলে ইতিহাস অন্য রকম হতো।
জিয়াউর রহমান সৎ মানুষ ছিলেন, সৎ রাষ্ট্রপতি ছিলেন উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, অতি সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। বেগম জিয়া কোনদিন ভাবেননি তিনি রাজনীতি করবেন। কিন্ত জনগণ তাকে রাজনীতিতে টেনে আনেন। তিনি রাজপথে থেকে মিছিল সংগ্রাম করে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যান।
গভীর হতাশা ব্যক্ত করে মেজর হাফিজ বলেন, যে স্বপ্ন ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তার সব চেতনাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এরা দুর্বৃত্ত ও লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। একজন প্রধানমন্ত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলেন, তাকে টুস করে পানিতে ফেলে দেয়া হবে। আগামী প্রজন্ম এ থেকে কি শিখবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি?
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: তারিকুল ইসলাম জহির, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু।
প্যানেল আলোচক ছিলেন খুলনা বারের সাবেক সভাপতি গাজী আব্দুল বারী, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, খুলনা জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. রফিকুল হক বাবলু, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি প্রফেসর ড. হারুনর রশিদ খান, ড. জাকির হোসেন ও বিএফইউজের সহ সভাপতি মো: রাশিদুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম নান্নু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদী।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ