আবহাওয়ার পরিবর্তনে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কখনও প্রচণ্ড রোদ ও বৃষ্টি এ কারণে সব বয়সী মানুষের ঠাণ্ডা ও ফ্লুর সমস্যা হতে পারে।
এই সময়ে জ্বর ভাব, অকারণে ঠাণ্ডা বোধ হওয়া, কাশির সমস্যা, নাক থেকে পানি পড়া, মাথাব্যথা, বমিভাব, ডায়রিয়া ও ফ্লুর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আর আপনি যদি দেখেন যে, এসব শারীরিক সমস্যা হচ্ছে; তবে অবশ্যই প্রাথমিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।
এ বিষয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. উত্তম কুমার দাস যুগান্তরকে বলেন, গরমে পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোকের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তাই এ সময় চাহিদামাফিক বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি পানের পাশাপাশি খাবার স্যালাইন খেতে হবে। আর ফ্লুর সমস্যা হলে যথাসম্ভব কমিয়ে আনা সম্ভব। কিছু বিষয় মেনে চললে ফ্লু দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
আসুন জেনে নিই ফ্লুতে আক্রান্ত হলে কী করবেন
১. ফ্লুতে আক্রান্ত হলে প্রথমেই ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেয়, যা খুব সহজে অন্য কারও হতে পারে। এ সময় হাত ভালোভাবে ধোয়ার অভ্যাস করুন। যেন ফ্লুর জীবাণু না ছড়ায়।
২. অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক কখনও রোগ সারায় না। অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসকে মেরে ফেলে না। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। যত বেশি বিশ্রাম নেবেন, শরীর তত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই ফ্লু হলে বেশি ঘুমাতে হবে।
৪. ফ্লু হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। টকদই, ফল, সবজি রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে। এ ছাড়া মুরগির স্যুপ খেতে পারেন। এই খাবার মিউকাস পরিষ্কার করে এবং পেটের সমস্যা কমায়।
৫. ফ্লু হলে মুখের ভেতরের অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঘন ঘন পানি পান করতে হবে। সাধারণ পানি পানে অরুচি দেখা দিলে ফলের রস, আদা চা, গ্রিন টি পান করতে পারেন।
খুলনা গেজেট/এমআর