দিনের বেলা গরম আবার রাতের দিকে ঠান্ডা আবহাওয়া। এতে ঘুমের জন্য সহায়ক পরিবেশ হলেও এর প্রভাবে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে। কারণ আবহাওয়ার এই আচরণের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের এই সময়ে একটু বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। জেনে নিন এই সময়ে জ্বর ও কাশি থেকে বাঁচতে করণীয়-
পানি পান করুন
গরমে ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। এসময় তাই বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। কারণ শরীর পানিশূন্য হলে শরীরে ব্যথা, মাথা ধরার মতো সমস্যা শুরু হয়। গরম কিংবা ঠান্ডা, সব সময়েই শরীরে প্রয়োজন পড়ে পর্যাপ্ত পানির। তাই পানি পানের পাশাপাশি বেশি করে তরল খাবার, স্যালাইন, স্যুপ, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে জ্বর ও কাশির মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন সহজেই।
পোশাকের দিকে খেয়াল রাখুন
দিনে গরম থাকলেও রাতে কিন্তু আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করে। তাই পাতলা পোশাক পরে না ঘুমানোই ভালো। আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই পোশাক পরেই ঘুমাতে যান। গলাব্যথার মতো সমস্যা থাকলে গলায় স্কার্ফ বা কাপড় জড়িয়ে ঘুমাতে যান। এতে খুশখুশে কাশির ভয় অনেকটাই কমবে।
ঠান্ডা পানি পান করবেন না
দিনের বেলা যতই গরম পড়ুক, ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণে এই গরম তো এই ঠান্ডা, তাই এসময় ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলাই উত্তম। গলা ব্যথা হলে লবণ ও হালকা গরম পানিতে গার্গল করে নিন। ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা আপনাকে অনেক ধরনের অসুখ থেকে দূরে রাখবে। প্রতিদিন সকালে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে। জীবনযাপনকে সঠিক রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে অসুখ-বিসুখ দূরে থাকবে।
সিগারেট বাদ দিন
সিগারেট বা তামাকজাতীয় খাবার গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। কারণ এটি হতে পারে কাশির কারণ। এছাড়াও বদলাতে হবে কিছু অভ্যাস। রোদ থেকে ঘরে ঢুকেই এসি চালিয়ে দেবেন না। গরমে ঘেমে গেলে আগে শরীর ভালোভাবে মুছে নিন। রাতে ঠান্ডা পড়লে জানালা বন্ধ করে দিন। ঘুমের সময় চাদর গায়ে দিতে পারেন। কারণ রাতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ