খুলনার রুপসা উপজেলার পিঠাভোগ ডি.জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সকল বিষয়ে A+ পেয়ে যমজ দুই বোন প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা ও প্রীতি রায় প্রাপ্তি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তারা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ এলাকার বাসিন্দা এবং তাদের বাবা-মা দুই জনই পিঠাভোগ ডি.জি.সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪ বার সুনাম অর্জন করেছে। ওই বিদ্যালয়ের পাশের হার ১০০% এবং তারাসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। তাদের বাবা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, মা সহকারী শিক্ষিকা।
তারা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় তারা মেধার স্বাক্ষর রাখেছে। এসএসসিতে দুজন একসাথে জিপিএ-৫ পেয়ে আবারও চমক দেখিয়েছে।
প্রবল ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টায় এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছে তারা। এবার উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ডাক্তার হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চায় তারা।
জিপিএ-৫ পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা বলে, ‘বাবা-মা, শিক্ষকদের সবার সহযোগিতায় আমি ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
প্রীতি রায় প্রাপ্তি বলে, ‘আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমি এতে খুবই খুশি। আমার ‘বাবা-মা, আমাদেরকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চান, আমরা তাঁদের স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
দুই মেয়ের মা সহকারী শিক্ষিকা লক্ষ্মী মজুমদার জানান, আমার কন্যারা ভালো রেজাল্ট করেছে, এটাই আমাদের গর্ব। সবাই আমার মেয়েদের জন্য আশীর্বাদ করবেন। তারা যেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।
যমজ দুই বোনের বাবা উপজেলার ছয় বার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ রায় খুলনা গেজেটকে বলেন, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানো বাবা ও শিক্ষক হিসেবে এটা একটা বড় দায়িত্ব। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে ভালোভাবে গঠন করার জন্য। আর আমরা দুইজনই শিক্ষক হওয়ার কারণে মেয়েদেরকে ভালোভাবে গাইডলাইন দিতে পারেছি। আমি বাবা হিসেবে সকলের কাছে তাদের জন্য আশীর্বাদ কামনা করি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইরিন পারভিন খুলনা গেজেটকে জানান, ‘যমজ দুই বোন প্রিয়ন্তী রায় প্রজ্ঞা ও প্রীতি রায় প্রাপ্তি খুবই শান্ত, মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী। তারা শুধু লেখাপড়া নয় সাংস্কৃতিক বিষয়েও খুব ভালো করে। তাদের দুজনের সাফল্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমি দোয়া করি তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো করুক।’
খুলনা গজেটে/ বিএম শহিদুল ইসলাম