শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হওয়া নিমকে একের পর এক আক্রমণে ম্যাচ জুড়ে কোণঠাসা করে রাখে পিএসজি। তবে অসাধারণ সব সেভে অনেকটা সময় উত্তেজনা জিইয়ে রাখেন গোলরক্ষক বাতিস্ত রেনেত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লিগ চ্যাম্পিয়নদের বড় জয় আটকাতে পারেনি তারা। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে নিমকে উড়িয়ে দিয়েছে টমাস টুখেলের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে লিগ ওয়ানে শুক্রবার রাতে ৪-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। তাদের অন্য দুটি গোল করেন আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সি ও পাবলো সারাবিয়া।
জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষের তিন দিন বাদেই এই ম্যাচ, সামনে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ঠাসা সূচি। তাই নেইমার, আনহেল দি মারিয়াসহ নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজন ছাড়াই একাদশ সাজান পিএসজি কোচ টুখেল। কম শক্তির দল নিয়েও অবশ্য জয় নিয়ে তেমন একটা ভাবতে হয়নি তাদের।
ম্যাচের শুরুটা দু’দলের কারোরই ভালো হয়নি। নবম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজির মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেস। পরের মিনিটে রাফিনিয়াকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন নিমের ডিফেন্ডার লোইক।
৩১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু বদলি মিডফিল্ডার আন্দের এররেরার জোরালো হেড ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।
পরের মিনিটেই দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোল পেয়ে যায় সফরকারীরা। রাফিনিয়ার থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপে। শেষ পাঁচ মিনিটে আরও তিনটি দারুণ সুযোগ পায় পিএসজি। কিন্তু গোলরক্ষক বাতিস্ত ছিলেন যেন চীনের প্রাচীর হয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্থ মিনিটে এমবাপের আরেকটি প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন বাপতিস্ত। ৬৬তম মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার ক্রসে আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সির ভলি বাঁ পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে পিএসজির। ১০ মিনিট পর ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডারের হেড লাগে ডান পোস্টে। পরের মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি ফ্লোরেন্সিকে। সারাবিয়ার হেডে বাড়ানো বল হেডেই লক্ষ্যে পাঠান ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার।
৮৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। এই গোলেও অবদান রাখেন সারাবিয়া। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৮৬তম মিনিটে সারাবিয়ার ক্রসে মোইজে কিনের হেড ক্রসবারে বাধা পায়।
সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করানো সারাবিয়া ৮৮তম মিনিটে নিজের নাম লেখান স্কোরশিটে। কলিন দাগবার পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।
সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে রেন।
খুলনা গেজেট/এএমআর