আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের নারী কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়েছে। জাকিয়া তাজিন নামক এক টেলিভিষণ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠতার তথ্য সংবলিত একটি ভিডিও বার্তা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুক পেজে।
ওই ভিডিওতে বলা হয়, ‘টিভি উপস্থাপক জাকিয়া তাজিনকে দেখে লোলুপ দৃষ্টি দেন সালমান এফ রহমান। ছলে-বলে তাকে কাছে টেনে নেন। অন্যদিকে, তাজিনও নিজের স্বামীকে দূরে ঠেলে হয়ে ওঠেন সালমানের প্রিয়জন। বাইরে-ভেতরে সম্পূর্ণ বিপরীত রূপ সালমান এফ রহমানের। তা টের পেয়েছেন ইডডেস্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল্লাহ আল মুনির। সালমান এফ রহমান কেড়ে নিয়েছেন তার স্ত্রীকে (জাকিয়া তাজিন), কেড়ে নিয়েছেন তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য।’
জানা যায়, হাজার হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ এবং শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্য বিখ্যাত সালমান এফ রহমান। এবার বেরিয়ে এলো তার নারীলিপ্সু চরিত্র। শফিউল্লাহ আল মুনির ওই টিভি চ্যানেলকে জানান, সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাজিনের একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, সবাই বলে, তাদের মধ্যে আইনগত কোন বৈধ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু, তাদের বাজে সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের এফেক্টে পড়েছে আমি এবং আমার বেবি (সন্তান)।
জানা যায়, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সূত্রে সালমানের সঙ্গে পরিচিত হয় মুনিরের স্ত্রী তাজিনের। সালমান-তাজিনের অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন তাদের কাছের মানুষদের কাছ থেকেই শোনা যেত। তাজিনকে তালাক দিতে মুনির রাজি না হওয়ায় সালমানের গুপ্তবৈরিতা বের হয়ে আসে।
শফিউল্লাহ আল মুনির বলেন, সালমান এফ রহমান আমায় ডেকে নিয়ে যায় তার অফিসে এবং সেখানে গিয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাজিনকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে। এবং সেখানে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সাক্ষর করতে বলে যেখানে লেখা ছিল, আমি আমার কোম্পানি বা প্রপার্টি আমি ক্লেইম করতে পারবো না। আমার ওয়াইফের নামে সোশাল মিডিয়া কিংবা টেলিভিশনে কোন কমপ্লেইন করতে পারবো না। আমার ছেলের কাস্টোডিও চাইতে পারবো না। তখন আমি জানতে চাই, আমার অপরাধ কি? আমরা তো হাসবেন্ড-ওয়াইফ। আমাদের যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আমরা নিজেরা তা সেটেল করতে পারবো। আমাদের ফ্যামিলি আছে। তখন তিনি বলেন যে, না, তুমি এখন যাবা এবং স্ট্রেইটওয়ে তুমি তোমার ওয়াইফকে ডির্ভোসের নোটিশ পাঠাবা এবং ডিভোর্স করে দিবা।
শফিউল্লাহ আল মুনির আরও বলেন, সালমান সাহেব যখন আমায় প্রেসার দিল তাজিনকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য এবং আমি যখন রাজি হলাম না, এরপর থেকেই জিনিসটা প্রকাশ্যে চলে আসলো। এবং, তখন থেকেই ওপেনলি অ্যাটাকগুলো শুরু হলো। এর আগ পর্যন্ত এই জিনিসটা পাবলিক ছিল না বা কেউ জানতোও না। এমনকি আমার অফিসের লোকজনও জানতো না যে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কি না।
ভিডিও বার্তা বলা হয়, এ কারণে শফিউল্লাহ আল মুনির গুম হয়েছিলেন এক মাস। মামলা আর হামলায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তার জীবন। যদিও ২০২০ সালের শেষভাগে তাদের তালাক হয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম