শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের মধ্যে মাদকগ্রহণ কিংবা সরবরাহের অভিযোগ ক্রমশই তীব্র হয়ে উঠছে ভারতে। কয়েকদিন আগেই মাদক মামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় তামিল ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেতা শ্রীকান্তকে। এরপরই সামনে এলো নতুন খবর। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) চেন্নাই কোকেন মামলার তদন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়।
এ মামলায় তামিল অভিনেতা কৃষ্ণা এবং কেভিন নামে এক মাদক সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ জানিয়েছে, কেভিন কেবল মাদক সেবনই করতেন না। তিনি অভিনেতা কৃষ্ণার কাছে মাদকদ্রব্যও বিক্রি করতেন। ফলে তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের পাশাপাশি বন্ধুদের কাছে সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, কৃষ্ণা মাদক ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোয় সক্রিয় ছিলেন এবং তাদের কনভারসেশনে মাদক ব্যবহারের সময় এবং অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাপক প্রযুক্তিভিত্তিক তদন্ত, আর্থিক লেনদেনের বিশ্লেষণ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেভিনকে গ্রেপ্তারের সময় ০.৫ গ্রাম কোকেন, ২.৪ গ্রাম গাঁজা, ১০.৫ গ্রাম মেথামফেটামিন ও নগত ৪৫ হাজার রুপি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ বিখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা পরিবারের সন্তান। তিনি নির্মাতা বিষ্ণু বর্ধনের ছোট ভাই এবং তার বাবা খ্যাতিমান চলচ্চিত্র প্রযোজক।
এর আগে তেলেগু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রীরাম নামে পরিচিত শ্রীকান্তকে নুঙ্গামবাক্কাম থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক সংশ্লিষ্টতায় এআইএডিএমকে’র একজন সাবেক কর্মীসহ কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত বলেও জানানো হয়। মাইলাপুরের বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে আইটি উইং সদস্য প্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাম উঠে অভিনেতা শ্রীকান্তের। এর আগে একটি ব্যক্তিগত বারে ঝগড়ার পর প্রসাদকে হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় দলের অন্যান্য সহযোগী এবং স্থানীয় সুনামি সেতুপতিও জড়িত ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রসাদ স্বীকার করেন যে, শ্রীকান্তকে কোকেনসহ মাদক সরবরাহ করেছিলেন তিনি। এ কারণে পুলিশ অভিনেতাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। প্রসাদ আরও জানিয়েছিলেন, অভিনেতা শ্রীকান্ত ১২ হাজার টাকায় এক গ্রাম কোকেন কিনেছিলেন। শ্রীকান্ত চেন্নাইয়ের ব্যক্তিগত পার্টি ও ক্লাবগুলোয় মাদক সেবন করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম