গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর থেকেই বলা হচ্ছিল সামনের আসরে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে টি-টোয়েন্টির জন্য নিজেদের গড়ে তোলার কথাও বলেছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু আদতে ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র ফরম্যাটে কোনো উন্নতিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ১৩ টি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে জয় এসেছে মাত্র দুটি ম্যাচে, একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
সামনেই আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলবে বাংলাদেশ। তবে শেষ সময়ে এসে বিসিবি সভাপতি বলেন, এবারের নয়, বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
মঙ্গলবার মিরপুরে নাজমুল হাসান পাপন জানান, ‘আমরা আসলে টি-টোয়েন্টিটা অন্যান্য দেশের মতো এত এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছি না এটা আমাদের ধারণা। নয়তো আমাদের দল যদি ওয়ানডে ভালো খেলে, তাহলে কেন টি-টোয়েন্টি পারবে না একেবারেই। প্লেয়ার তো একই। মাইন্ডসেটের ব্যাপার আছে। একই ধরনের প্লেয়ার, একই কোচিং স্টাফ, তাহলে হচ্ছে না কেন। আমরা একটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। একটা জিনিস আপনাদের পরিষ্কার বলে দেই, আমরা এখন যা করছি সেটা এই বিশ্বকাপের জন্য না। এই বিশ্বকাপ দেখে চিন্তা করলে হবে না। আপনাকে পরের বিশ্বকাপ টার্গেট নিয়ে করতে হবে।’
রাতারাতি বদলানো সম্ভব না জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এমন কোনো কোচ নাই, বোর্ড নাই যারা একমাসের মধ্যে, রাতারাতি সব পরিবর্তন করে দিবে। এতদিন যা হওয়ার হয়েছে, আমরা এখন লং টার্ম চিন্তা করছি। টার্গেট করেছি পরবর্তী বিশ্বকাপ। সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আমরা দল প্রস্তুত করছি।’
পাপন আরো বলেন, ‘এটার জন্য কিছু এক্সপেরিমেন্ট হবে, কিছু আপস এন্ড ডাউন হবে। আমরা ওইটা এবজর্ভ করতে তৈরি। ওটা খারাপ হলেও আমরা হতাশ হবো না। কিন্তু আমরা চাই ভালো করুক। যেন ছয়-সাত মাস বা সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে যেন দল দাঁড়িয়ে যায়।’
মাহমুদউল্লাহর জায়গা অন্য কাউকে ভাবছে কি না বোর্ড এমন প্রসঙ্গে পাপন বলেন, এখানে ইস্যুটা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে না। আমরা যে জিনিসটা চাচ্ছি, সেটা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পুরোপুরি আলাদা। আমরা আসলে টি-টোয়েন্টিটা অন্যান্য দেশের মতো এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছি না এটা আমাদের ধারণা। তবে আমরা এখান থেকে দ্রুত বেড়িয়ে আসতে পারবো। আমাদের টার্গেট ছয়-সাত মাস বা সর্বোচ্চ এক বছর। সুন্দর একটি দল হিসেবে আমরা যেন দাঁড়িয়ে যেতে পারি।
খুলনা গেজেট/এমএম