খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২১ জুন ঢাকায় জনসভার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন জামায়াতের

এবার তুরস্কের বিরুদ্ধে মেঘ চুরির অভিযোগ ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কৃত্রিমভাবে ভারী মেঘ তাড়িয়ে তুরস্কের আকাশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তুর্কিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন খরা কবলিত ইরানিরা। সাধারণত ‘মেঘ চুরি’ বলতে এমন অভিযোগকে বোঝায় যে, আকাশে ভেসে বেড়ানো ভারী মেঘ তাড়িয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

প্রতিবেশী দুই দেশ ইরান ও তুরস্ক। তুরস্কের আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর পর্বতশৃঙ্গ তুষার আবৃত হওয়া সত্ত্বেও সীমান্তের আরেক পাশে ইরানের আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই, দেশজুড়ে চলছে খরা আর অনাবৃষ্টি। সীমান্ত লাগোয়া দুই দেশের মধ্যে জলবায়ুর ধরনে এত পার্থক্য কেন হবে- তা নিয়ে ইরানিদের মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধে। নাগরিকদের কেউ কেউ বলছেন, তুর্কিরা কোনোভাবে ইরানের মেঘ (চুরি করে) আকাশ থেকে সরিয়ে নিজেদের অংশে নিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১৮ সালে জলবায়ুতে প্রভাব খাটিয়ে মেঘ ও তুষার চুরির জন্য আরেক প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছিল ইরান।

এ বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়, ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে এমন চুরি সম্ভব। এ পদ্ধতিটি হলো কৃত্রিমভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন কৌশল, যেখানে হালকা মেঘের ভেতরে এমন কিছু উপাদান ছড়িয়ে দেয়া হয় যাতে মেঘ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি বা তুষার হয়ে ঝরার উপযোগী হয়। তবে এ প্রক্রিয়ার সফলতা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ক্লাউড সিডিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন আবহাওয়া বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানের ঐতিহাসিক জেমস ফ্লেমিং বলেন, ‘ক্লাউড সিডিংয়ের সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব হলো, এতে সন্দেহের অবকাশ থাকে যে প্রতিবেশী দেশ বৃষ্টি চুরির চেষ্টা করছে বা গোপনে পরিবেশগত বিরোধ বাঁধানোর চেষ্টা করছে।’ ফ্লেমিং আরও বলেন, ‘মেঘ কখনো এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে না। এগুলো ক্ষণস্থায়ী যা গতিশীল পরিবেশে গঠিত এবং ক্রমাগত মিলিয়ে যেতে থাকে।’

তবে যে দেশের মেঘে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে কোনো নিশ্চয়তা নেই যে, ওই দেশেই এটি বৃষ্টি বা তুষায় হয়ে নামবে। কারণ, মেঘ আকাশে দ্রুত গতিতে ভেসে বেড়ায়।

মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র খরা ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে দেশগুলো মেঘ থেকে যত বেশি সম্ভব কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর বিকল্প সব ব্যবস্থা প্রয়োগ করে দেখছে। ইরান, তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো আবহাওয়া পরিবর্তন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কারণে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে পরিবেশগত শত্রুতার দুয়ার আরও উন্মোচিত হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!