দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। চলবে থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এই আবেদন করতে হবে। প্রতিটি আবেদনে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পালায় (ডাবল শিফট) চলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় পালা পছন্দক্রমে দিলে দুটি পছন্দক্রম বলে বিবেচিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) দেওয়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে https://gsa.teletalk.com.bd ঠিকানায়। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে দিতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ছয় বছরের বেশি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) অধীন দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৪) জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার (লটারি) তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সম্ভাব্য সময় অনুযায়ী এবার আবেদন গ্রহণের পর আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি হবে ২১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।
মাউশি বলছে, এবার যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল লটারির প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না, সেসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
খুলনা গেজেট/এইচ