দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। এরপর তাসকিনও শিকার করেন এক উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন কিগান পিটারসেনকে। সবশেষ এবাদত তুলে নিয়েছেন টেম্বা বাভুমাকেও। ৪ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে এখন ব্যাট করছে প্রোটিয়ারা। তাদের লিড ১৯৫ রানের। এবাদত ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
এবাদতের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ওপেনার সারিল এরউই। ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন তিনি। তৃতীয় দিন শেষে সারিলের নামের পাশে ছিল ৩ রান। এরপর তাসকিন আহমেদও ডিন এলগারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। ১০২ বলে ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। পিটারসেন মিরাজের বলে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে।
তৃতীয় দিনের পুরোটাই ছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের। টাইগারদের ইনিংসে ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন তিনি। আউট হয়েছেন শেষ ব্যাটার হিসেবে। এই ওপেনার তুলে নেন সেঞ্চুরিও, আউট হওয়ার আগে জয় করেন ১৩৭ রান। তার ইনিংসে ভর করে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের ৩৬৭ রানের জবাবে জয় ছাড়া বাকিরা যেন উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে ছিলেন। যার শুরুটা হয়েছিল সাদমান ইসলামকে দিয়ে। এদের মধ্যে জয়ের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন লিটন দাস। ৩৮ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। লম্বা ইনিংসে জয়কে কখনো শান্ত, কখনো লিটন, আবার কখনো ইয়াসির-মিরাজরা সঙ্গ দেন।
২৬৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন জয়। শেষ পর্যন্ত ৩২৬ বলের ইনিংসে তিনি ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। জাতীয় দলের হয়ে জয়ের এটি প্রথম শতক। সেঞ্চুরি পূরণ করতে তার খেলতে হয়েছে টেস্ট ক্যারিয়ারে তার একটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট শিকার করেন হারমার। তিন উইকেট নেন লিজাড।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাংলাদেশ অলআউট করেছিল ৩৬৭ রানে। ৪ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। শুরুতেই টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ জোড়া আঘাত হানেন সফরকারীদের শিবিরে। পরপর দুই বলে তিনি ফেরান কাইল ভেরাইন্নে ও ভিয়ান মুল্ডারকে। ভেরাইন্নে-মুল্ডার ফিরে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে আশা দেখাচ্ছিলেন টেম্বা বাভুমা। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তেও চলে গিয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে শত রান করতে দেননি। সেঞ্চুরি পূর্ণ হতে তার দরকার ছিল আর মাত্র ৭ রান। তখনই মিরাজ সরাসরি বোল্ড করে বাভুমাকে। ১৯০ বলে ১২ চারে ৯৩ রান করে ফিরে যান তিনি।
বাভুমা আউট হওয়ার পর কেশভ মহারাজকে তুলে নেন এবাদত হোসেন। মহারাজ করেন ১৯ রান। এরপর সিমন হারমার ও লিজাড উইলিয়ামস খেলতে আসেন। বিরতির আগে সিমন ৮ ও লিজাড ৬ রান করেন। ৮ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ৩১৪ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে যান তারা। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার পর লিজাড উইলিয়ামস নামের পাশে যোগ করেন আরও ৬ রান। এরপর খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত এক বলে থার্ডম্যানের দিকে ক্যাচ তুলে দেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার। ওই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ও নেন চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচ, সাজঘরে লিজাড।
এ ম্যাচে খালেদ আহমেদের এটি চতুর্থ শিকার। আগের দিন তিনি নিয়েছিলেন ডিন এলগারের উইকেট। শেষ দিকে হারমার ও অলিভিয়ের প্রোটিয়াদের ইনিংস বড় করার ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখেন। দশম ব্যাটার হিসেবে ১২ রান করে আউট হন অলিভিয়ের। সিমন অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ ছাড়াও মিরাজ ৩টি ও এবাদত ২টি উইকেট শিকার করেন।
খুলনা গেজেট/এএ