খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ মাঘ, ১৪৩১ | ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে, স্বৈরাচারের সময় তাদের কেউই সাহস করে এসব কথা বলেনি: তারেক রহমান
  তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি অযৌক্তিক : শিক্ষা উপদেষ্টা

‘এক পায়ে পাড়া দেব, আরেক পায়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলব’

গেজেট ডেস্ক

ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে অডিওতে রুম দখল নিয়ে টেনে ছিঁড়ে ফেলা, গলায় পা দিয়ে ধরাসহ নানা হুমকি দেয়া হয়েছে। যেখানে কলেজ অধ্যক্ষের চেয়েও নিজেকে ক্ষমতাধর বলে দাবি করেছেন তামান্না জেসমিন রিভা।

তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু।’

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) অডিওটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিওতে যে কথাগুলো শোনা যাচ্ছে, তা নিজের বলে গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন তামান্না।

অডিওতে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিভাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার… গেছে। কোন হেডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যাল?’

এ সময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ বাসায় গেছে?’ জবাবে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২ (রুম নম্বর)-এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কি… গেছে? বল? আমি কি… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে ফাইজলামি শুরু করছিস।’

এ সময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকেও গালমন্দ করতে শোনা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস। তোদের লিগ্যাল করাইছে, তাতে আমার… কি? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামরা দেবে? ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের?’

তামান্না আরো বলেন, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চাস, সে হোক নেত্রী কিংবা ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না। এটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিয়েছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নেই।’

অডিওর বিষয়ে তামান্না জেসমিন রিভা বলেন, মেয়েরা প্রোগ্রাম না করায় তাদের রুম থেকে শিফট করার কথা বলছি।

অডিওটি এখনো শোনেননি জানিয়ে রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নারগিস রুমা বলেন, ‘হল থেকে কাউকে বের করতে হলে, তা হল কর্তৃপক্ষই দেখবে। কেউ বের করার কথা বলতে পারে না।’

ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বিষয়টি এখনো জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। আমি বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এরকম হওয়ার কথা না।’

খুলনা গেজেট/এমএনএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!