যশোর শহরতলীর রাজারহাটে শুক্রবার একরাতে ছয় দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় চোরেরা তিনজন নাইটগার্ডকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেধে রেখে ছয়টি দোকান থেকে বিভিন্ন মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোর-খুলনা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী রাজারহাট বাজারের যশোর ট্রেডিংয়ের সামনে দেখা যায়, রাস্তার একপাশের পাঁচটি ও অপর পাশের একটি দোকানের তালা ভাঙ্গা। বিভিন্ন মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক ও কর্মচারিরা হা-হুতাশ করছে।
প্রতিষ্ঠান মালিকেরা জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে একটি পিকআপ গাড়িতে ৬/৭ জন যশোর ট্রেডিং এর সামনে দাড়ায়। সেখানে দায়িত্বে থাকা নাইটগার্ড আব্দুল মান্নান ও গোলাম হোসেনকে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে। অপর প্রান্তে আরেকজন নাইটগার্ড আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও বেধে ফেলা হয়। পরে তিনজনকে পাশের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। চোরেরা বিভিন্ন দোকানের সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এরপর ওই ছয়টি দোকানের তালা ভেঙে মালামাল, নগদ টাকা, সিসি ক্যামেরার সরঞ্জাম, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল নিয়ে ওই ট্রাকে ভরে রাত চারটার দিকে চলে যায়। সকালে এসে নাইট গার্ডদের উদ্ধার করে এসব কথা তারা জানতে পারেন। বিষয়টি তারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানায় অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী ঐশি পাতিঘরের মালিক ইসরাইল হোসেনের ৭ লাখ টাকা, শেখ ওয়াল্ডিং এর মালিক মুস্তাক শেখের ৮০ হাজার টাকা, বাবু স্টোরের মালিক পরাগ হাসানের ৭০ হাজার টাকা, সোহাগ অটোর মালিক সোহাগ হোসেনের ৬০ হাজার, কে আর এন্টার প্রাইজের মালিক আব্দুল আওয়ালের এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ও নিউ এমএম মটরসের মালিক মামুন হোসেন রনির একলাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, একরাতে ছয়টি চুরির ঘটনার পর আশপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় দোকানী সাকিব হোসেনসহ আরো কয়েক ব্যবসায়ী নিজেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনার রহস্য উদঘটনে কাজ করছে।