করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি রোধে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এমন সিদ্ধান্তের দিনে খবর এলো করোনায় সর্বোচ্চ শনাক্তের। দেশে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮৭ জন। এতে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ২৬৬ জনে।
রোববার (৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭০৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৮২ জন।
এ সময়ে ৩১ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৭২৪টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ, বাকি ৮ জন নারী। ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে, একজন মারা গেছেন বাড়িতে। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ২৬৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৯৭০ জন, নারী ২ হাজার ২৯৬ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জারি করা হয় লকডাউন। এতে থমকে যায় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক চলাচল সীমিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।