খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  সিন নদীতে প্যারিস অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধন

একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক, বিস্মিত হাইকোর্ট

গেজেট ডেস্ক 

একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন- না নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আমাদের বিষয়টি হতবাক করেছে। মঙ্গলবার(১১জুন) যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের শুনানিকালে বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন।

রিটকারী আইনজীবী শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের অনিয়মের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। দেশ-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে একজন সরকারি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি। একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন। এটি আমাদের বিস্মিত করেছে।

গত ২৯ মে যশোরের পাঁচটি নদীর ওপর আটটি সেতু নির্মাণে অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রাখার বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধি এবং যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ১১ জুন আদালতে হাজিরে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই হিসাবে আজ মঙ্গলবার তারা হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

আটটি সেতু হচ্ছে- যশোর সদর উপজেলার ভৈরব নদীতে ছাতিয়ানতলা সেতু, রাজারহাট সেতু ও দাইতলা সেতু; অভয়নগর উপজেলার টেকা নদীতে টেকা সেতু; মণিরামপুর উপজেলার মুক্তেশ্বরী নদীতে হাজরাইল সেতু ও শ্রী নদীতে নেহালপুর সেতু এবং শার্শা উপজেলার বেতনা নদীতে কাজীরবের থেকে ইসলামপুর মোড় আরসিসি গার্ডার সেতু ও শেয়ালঘানা গাতিপাড়া আরসিসি গার্ডার সেতু।

এর আগে যশোরে কম উচ্চতার ১১ সেতুতে ‘নদী হত্যা’ শিরোনামে গত বছরের জুনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ গত বছর রিট করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসারে সেতু নির্মাণে যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা রাখতে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চার বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!