তীব্র গরম বাইরে প্রখর রোদ, আবার ঘরেও দাবদাহে যেন শান্তি নেই। এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া ঘরে টেকাও কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতেই এসি নেই। এ পরিস্থিতিতে তাদের চেষ্টা করতে হবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ঘর ঠান্ডা রাখার।
যাদের ঘরের দেওয়ালের রং হালকা বা সিলিংয়ে সাদা রং লাগানো আছে, তাদের ঘর ঠান্ডা রাখাও অপেক্ষাকৃত সহজ। আবার যদি আপনার ঘরে যদি পশ্চিমমুখী জানালা বা বারান্দা থাকে, তা হলে বেশি তাপ ঢুকবে।
এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা রাখতে কী করবেন-
গরম বাতাস প্রতিরোধ : ঘরে গরম বাতাস প্রবেশ আটকাতে পারলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। এজন্য রোদের সময় জানালা বন্ধ রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঘরে ভেন্টিলেটর থাকতে হবে।
জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন : এখন সকাল হওয়ার পর পরই রোদের তেজ বাড়তে থাকে। এ কারণে ঘড়ির কাটা ১০ টার ঘরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন। ব্লাইন্ডস থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এতে ঘরে তাপ ঢুকবে কম। ফ্যান চলিয়ে রাখলেও আরাম পাবেন। আবার বিকেলের দিকে জানালা খুলে দিন। মুখোমুখি জানালা থাকলে ঘরে হাওয়া বাতাস চলাচল করবে ভালো।
ঘরে গাছ রাখুন : ঘরের মধ্যে গাছ রাখলে তা দেখতেও সুন্দর লাগে, তাপও শুষে নেয়। এক্ষেত্রে এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে মানিপ্লান্ট, অ্যালোভেরা, স্নেক প্লান্ট, অ্যারিকা পাম ঘরে রাখতে পারেন।
একজস্ট ফ্যান : ঘরের গরম হাওয়া বের করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন একজস্ট ফ্যান। এতে ঘরের গরম হওয়া বেরিয়ে যাবে ফলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। একইসঙ্গে জানালায় ঝুলিয়ে রাখতে পারেন ভিজে কাপড় বা ভিজে তোয়ালে। তাহলে এই গরমেও ঘরের ভেতর আরামদায়ক অনুভূতি পাবেন।
বরফ : এসি ছাড়া ঘর ঠান্ডা করতে অন্যতম কার্যকরী উপায় হচ্ছে একবাটি বরফ। টেবিল ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রেখে দিলে, ঘর জুড়ে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল অনুভূতি পাবেন। বরফ গলে গেলেও, ঘরের ভেতর ঠান্ডা অনেকক্ষণ বজায় থাকবে।
পানি দিয়ে ঘর মুছুন : দিনে দু’বার পানি দিয়ে ঘর-জানালা মুছে ফ্যান চালিয়ে দিন। তার আগেই জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন। ঘর ঠান্ডা থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম