ছোট্ট সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে নাম তার ঋতু। পাঁচ বছর বয়সে তার মেজো বোনের হাত ধরে স্কুলে যায়। স্কুলের প্রথম দিন অনেক আনন্দ হচ্ছিল তার। স্কুলের ম্যাডাম তাকে ভর্তি করে নিলেন। প্রাক প্রাথমিক বা শিশু শ্রেণীতে। রোল নম্বর ৩৭।
সে মনে ভাবতে লাগলো এটা আমার স্কুল। ভেবে গর্ববোধ করল। বিদ্যালয় প্রতিদিন কত ছেলে মেয়েদের সাথে মিলেমিশে ক্লাস করা যায়, খেলাধুলা করা যায়,, গল্প করা যায়, আবার শিক্ষক ও বন্ধুদের কাছ থেকে বাহবা পাওয়া যায়। খুব দারুন ব্যাপার।।
তার মনের মধ্যে স্বপ্ন জাগতে শুরু করল। তাকে ভালো ছেলে মেয়েদের মত হতে হবে। ভালো ফলাফল করতে হবে।তখন সবার মুখে প্রশংসা পাওয়া যাবে এটা সত্যিই একটা দারুন ব্যাপার হবে।
প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলো সত্যিই একদিন সে মাধ্যমিকের ভালো ফলাফল করলো শিক্ষক বন্ধু মা-বাবা সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। তার ভাবনা আরো বেড়ে গেল। তাকে আরো ও ভালো ফলাফল করতে হবে। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালো জটিল আইন সমাজের জটিল আইন-শৃঙ্খলা শৃঙ্খলা, কুসংস্কার-মেয়েদের লেখাপড়া করতে নেই।
কিন্তু তাতে ভেঙে পড়ার মতো মেয়ে নয় সে। প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেই স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করল এবং একই ধারায় একদিন শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে উৎসর্গ করল ।
উৎসর্গ করল নিজেকে শিশু থেকে মানুষ গড়ার কারিগর রূপে আজ তারই সান্নিধ্যে এক ঋতু থেকে শত শত ঋতুর জন্ম হচ্ছে। শত শত রিতুর মাঝে সে নিজের ঋতুকে খুঁজে পায়।
খুলনা গেজেট/এনএম