খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় না দেওয়ার ভাবনা আ.লীগে

গেজেট ডেস্ক

জানুয়ারির শুরুতে সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর আগামী সপ্তাহেই প্রথম ধাপে শখানেক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এতে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দলটির নেতাদের ভাষ্য, তৃণমূলের রাজনীতিতে বিভাজন ঠেকাতে এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে তারা ভাবছেন।

এই ভোট হতে পারে রোজার আগেই, আগামী মার্চে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, এবার চার থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলার ভোট হতে পারে।

২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন প্রণয়নের পর থেকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিপাকেও পড়তে হয়েছে। অতীতে একজনকে প্রতীক দিলে আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

তাতে দলীয় শৃঙ্খলা যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনই তৃণমূলে বিভেদ-বিভাজনও সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বিপাকে পড়তে হয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে। একেক নেতা একেক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় কোথাও কোথাও পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে গড়িয়েছে।

সবশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদ দুটি উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ।

দলটির জ্যেষ্ঠ এক নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে তখন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই দাঁড়িয়ে যায়। যার ফলে তৃণমূল নেতারা অনেক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন।

এ কারণে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে আওয়ামী লীগ স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেও দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিকল্প প্রার্থী রাখার নির্দেশনা এসেছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে। এক্ষেত্রে বিকল্প প্রার্থীদের অতীতের মত বিদ্রোহী তকমা দেওয়া হয়নি; স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে কোনো ব্যবস্থা যে নেওয়া হবে না, সে কথাও আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আর তাতে ২৯৯ আসনের মধ্যে ৬২ আসনে জয় পানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

ভোট বর্জন করে আসা বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আসবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভা হবে। সেখানেই স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রশ্নে মতামত নেওয়া হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে কি না- এমন প্রশ্নে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীকাল আমাদের সভা আছে, সভার আগে কিছু বলা যাবে না।”

আগামী উপজেলা নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমাদের দলের পক্ষে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেটা আমাদের আলোচনা হলে জানতে পারবেন।”

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!