খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

উপজেলা নির্বাচন : দলের ‌নিরবতায় মাঠে বিএনপি-জামায়াত নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছে বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির অবস্থান এখনও পরিষ্কার নয়। একই অবস্থা তাদের মিত্র জামায়াতেরও। বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের বিষয়ে দল দুটি নমনীয় থাকবে বলে প্রচার করা হচ্ছে। এই সুযোগে ভোটে অংশ নিতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে খুলনার ৯টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির তিন নেতা। অন্যদিকে কয়রা, পাইকগাছা ও ফুলতলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেছেন জামায়াতের তিন নেতা।

খুলনার ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান। একই পদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেছেন জেলা বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেমের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মুনিবুর রহমান নয়ন। ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাব্বির হোসেন রানা।

মুনিবুর রহমান নয়ন বলেন, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে গণসংযোগ শেষ করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। দল যদি নির্বাচনের বিষয়ে নমনীয় থাকে, তাহলে প্রার্থী হব।

শেখ সাব্বির হোসেন রানা বলেন, ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। দল নির্বাচনে গেলে অথবা এ বিষয়ে নীরব থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এখন কেউ ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী হলে দলের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফুলতলা উপজেলায় জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আজম হাদী, পাইকগাছা উপজেলায় কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং কয়রা উপজেলায় সহকারী জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে গাউসুল আজম বিগত সময়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছিলেন।

জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনছি এবারের নির্বাচন নির্দলীয় হবে। তাই ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান বলেন, জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে না। স্থানীয়ভাবে আলোচনা করে কেউ প্রার্থী হলে সে বিষয়ে দলের কোনো বক্তব্য নেই।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!