বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে, যার প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। মোংলা বন্দরে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মোংলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রোববার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
এদিকে দুর্যোগপুর্ন ও বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরে জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’র গতি এখন মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে, বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’র কারণে দুশ্চিন্তায় শুটকি আহরণকারী দুবলার চরের জেলেরা, সাগর পারের চরাঞ্চলে থেমে থেমে কখনও মাঝারি আবার মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রচন্ড বাতাস ছাড়াও বিরাজ করছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। বৃস্টি অব্যাহত থাকলে জেলেদের জালে আহরিত মাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সাগর প্রচন্ড উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসা খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটক, দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর জেলেসহ কর্মকতা ও বনরক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে ইতোমধ্যে সুন্দরবনের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন জানান, আমরা আবহাওয়ার খবরা খবর পর্যবেক্ষণ করছি। বৃষ্টির কারণে খাদ্যবাহী জাহাজের পণ্য খালাসের কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের অন্য সকল পন্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
খুলনা গেজেট/এনএম