জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। প্রতিদিন পানির চাহিদা বাড়ছে কিন্তু বাড়ছে না সুপেয় পানির পরিমাণ ও আধার। পানির উৎস পুকুর, দীঘি, জলাশয়, নদ-নদী-খাল-বিল হ্রাস পাচ্ছে। যার বড় কারণ হচ্ছে দখল ও দূষণ। অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। উপকূলের চারিদিকে পানি থৈ থৈ করছে কিন্তু নিরাপদ খাবার পানি নাই।
বুধবার সকালে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে উপকূলীয় অঞ্চলে সবার জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে খালি কলসি হাতে পুকুরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা এ কথা বলেন।
’পানি, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’ শ্লোগানে বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ব পানি দিবসে পুকুরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর মোংলার আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা কমলা সরকার, মার্টিন সরকার, হাছিব সরদার, জলবায়ু যোদ্ধা তন্বী সর্দার, চন্দ্রিকা মন্ডল, প্রভূদান সর্দার, চিন্ময় ঢালী প্রমূখ।
অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা আরও বলেন, পানির অবাধ প্রবাহ ও ন্যায় সংগত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদান, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি দূষণ কমাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলে নিরাপদ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বক্তারা পানিকে পন্যে পরিণত না করে বরং সেবামূলক খাত হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সবার জন্য নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম