আর্থসামাজিক উন্নয়ন সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ জোসেফ বোরেল।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্তেফানিৎসের চিঠির উত্তরে এমন জবাব দেন জোসেফ বোরেল।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান গত ২০ জানুয়ারি র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বোরেল বরাবর চিঠি দেন। ৫৭ দিন পর শুক্রবার (১৮ মার্চ) চিঠির জবাব দেন বোরেল।
চিঠিতে বোরেল লিখেছেন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংকোচনের ক্ষেত্রে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম বড় রকমের উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়েছে এবং এক্ষেত্রে বিস্তৃত ও চূড়ান্ত তদন্তের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
চিঠির জবাবে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বোরেল কোনো মন্তব্য না করে লিখেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের কমিটি এগেইনস্ট টর্চার (সিএটি) ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নিরাপত্তার বাহিনীর ব্যাপক আকারের নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন।
চিঠিতে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরেন বোরেল। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিকের পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ে আমাদের এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সংলাপের মধ্যে রয়েছি আমরা। আসন্ন ইইউ-বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিশন এবং সাব গ্রুপ অন গুড গভর্নেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এসব বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বোরেল চিঠিতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই