মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু যা বর্তমান সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আল্লাহ পাক সম্পন্ন করার তৌফিক দান করেছেন। ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে।
পদ্মা সেতু দেশের বৃহত্তম নদী পদ্মার ওপর প্রস্তাবিত একটি বহুমুখী সেতু। যে পদ্মার একদিন ছিল না কূল-কিনারা, সামনের বছর শেষে পদ্মার বুকের ওপর দিয়ে ছুটবে গাড়ি, চলবে ট্রেন। উত্তর দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া উপকূল এবং দক্ষিণ দিকে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের জাজিরা উপকূল।
প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেতুটি ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ। পদ্মা সেতু চালু হবার ফলে দূরত্ব কমে যাবে দেশের এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের, অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে দ্রুত বেগে। অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে দেশের দুই ভাগকে এক করা পদ্মা সেতু, বাড়বে জীবনযাত্রার মান।
পদ্মা সেতু নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে দেশ এবং দেশের বাইরে। পদ্মা সেতুটি নির্মাণের ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দুই থেকে চার ঘণ্টা কমে যাবে। রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার, কাঁচামাল সরবরাহ এবং শিল্পায়ন সহজতর করতে সহায়তা করবে।
২১টি জেলায় গড়ে উঠবে ছোটবড় শিল্প। কৃষির ব্যাপক উন্নতি হবে। কৃষকরা পণ্যের দাম ভালো পাবেন এবং ফলে উৎপাদন বাড়বে। বাংলাদেশ নদীপথে বাণিজ্য করা দেশগুলোর সঙ্গে অধিক ব্যাবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবে। ফলে দেশের সার্বিক বাণিজ্যের উন্নতি সাধিত হবে এবং সেটা জাতীয় উন্নয়নের কার্যকরী প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড আবর্তিত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে কৃষিপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং শিল্পজাত পণ্যসামগ্রী সহজে ও স্বল্পব্যয়ে স্থানান্তর করতে সুবিধা হবে। এর ফলে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, শিল্প ও ব্যবসায়ের প্রসার ঘটে। এজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পদ্মা সেতু এক্ষেত্রে অর্থনীতির ভিত্তি ও সোনালি সোপান হিসেবে কাজ করবে।
এই সেতুতে যানবাহন চলাকালীন সময় সমস্ত প্রকার দুর্ঘটনা এবং ক্ষতি থেকে আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে যেন হেফাজত করেন।