যশোরের মণিরামপুর উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা প্রভাষক উদয় শংকর হত্যা মামলায় পূর্ববাংলা কমিউস্টি পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ড সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তিনজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলো, মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ^াসের ছেলে পবিত্র বিশ^াস, পাঁচাকড়ি গ্রমের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে রাসেল গাজী, অভয়নগরের সরখোলা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হবির ছেলে আল আমিন মোল্লা, শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম আহম্মেদ, সরখোলা গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা, দত্তগাতী গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বর ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুরের পাঁচাকড়ি গ্রামের উদয় শংকর বিশ্বাস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও টেকেরঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর সকালে মোটরসাইকেলে উদয় শংকর প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কেনার উদ্দেশ্যে টেকেরঘাট বাজারে যান। বাজার শেষে বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের দু’জন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের মা ছবি রাণী বিশ্বাস অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রভাষক উদয় শংকরের সাথে আসামি পবিত্র বিশ^াসের এলাকার রাজনৈতিক গ্রুপিং ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে পবিত্র বিশ^াস তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আসামিরা হত্যাকান্ডটি ঘটায় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা সাইফুল আলম মেম্বরের নির্দেশনায় ও তিনি হত্যাকান্ডে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই সাথে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় বিভিন্ন সময় আটক পরিতোষ বিশ^াস, উত্তম দাস ও আনিসুর রহমানের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি