২৬ ক্রিকেটার নিয়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম। কোচ টবি র্যাডফোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব বুঝে নেন। শুরুতে ক্রিকেটারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কোচ। নিজের ভাবনা তুলে ধরেন আফিফ হোসেন, সুমন খান, আকবর আলীদের সামনে। এরপর শুরু হয় ফিটনেস ট্রেনিং ও স্কিল সেশন।
জাতীয় দলের হয়ে এক ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি খেলা আফিফকে রাখা হয়েছে এইচপি ইউনিটে। এর আগেও এ ক্যাম্পে ছিলেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা নতুনদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই ক্যাম্পে অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করতে মুখিয়ে আফিফ।
এইচপি ক্যাম্পের উপকারিতা সম্পর্কে আফিফ বলেছেন, ‘এইচপিতে লম্বা সময়ের একটা ক্যাম্প হয়। এখানে ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি ঠিক করে নেওয়ার সময় থাকে। লম্বা সময়ের ক্যাম্প হওয়ায় এর উপকার পাওয়া যায়। এর পরিধিও বিস্তৃত। একসঙ্গে দীর্ঘসময় অনুশীলন করা যায়। ভালো একজন কোচের অধীনে অনুশীলন করতে পারছি, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। সামনে যে আমাদের প্রতিযোগিতা, এখান থেকে ভালো কিছু নিয়ে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবো।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট পেয়েছেন সুমন। ফাইনালে পাঁচ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ একাদশের ডানহাতি পেসারও রয়েছেন এইচপি ইউনিটে। নিজ থেকেই জানালেন, প্রত্যাশা বাড়ার, বেড়েছে দায়িত্ব। তাইতো সামনে আসা সব সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চান। আরও শাণিত হয়ে পেতে চান লাল-সবুজ জার্সি।
সুমন বললেন, ‘টুর্নামেন্টটা অনেক ভালো কেটেছে। সুযোগ ছিল নিজের সেরাটা দেওয়ার। অনুভূতিটাও অসম্ভব ভালো। এখন সবার প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে, আমার দায়িত্বও বেড়ে গেল। এখন ভালো করছি, সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা থাকবে। এই ধারাবাহিকতাটাই যেন ধরে রাখতে পারি সে চেষ্টায় আছি।’
এইচপি ক্যাম্প নিয়ে তার ভাবনা, ‘এইচপি একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম। বিসিবি আমাকে এখানে সুযোগ করে দিয়েছে প্রস্তুত হওয়ার জন্য। নিজের স্কিলের ও ফিটনেসের উন্নতি করার জন্য। নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম মাধ্যম এইচপি ক্যাম্প। তরুণ বা উদীয়মান খেলোয়াড় যারা আছে তাদের পথ প্রস্তুত করে দেয় এ ক্যাম্প। এখান থেকে পারফরম্যান্স, মানসিকতা বা টেকনিক্যালি নিজেকে প্রস্তুত করা যায়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলে টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য এখানে সর্বোচ্চ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে চাই।’
খুলনা গেজেট/এএমআর