ক্যারিয়ার সেরা ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর বোলিংয়ে টিম সাউদি-ওয়েগনার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আলঝারি জোসেফ-জার্মেইন ব্ল্যাকউড কাউন্টার অ্যাটাক দিয়েছিলেন। কিন্তু রানের মহাসমুদ্র পেরিয়ে তীরে ভিড়তে পারেননি। ফলাফল ইনিংস ও ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হার।
টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্য পরীক্ষার খেলা। ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে হয় মেপে মেপে। দ্রুত রান তোলার কোনো তাড়া থাকে না; বল খেলারও কোনো হিসেব লাগে না। এই পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয়েছে।
একদিনেই হারিয়েছে ১৫ উইকেট! তবে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো কাউন্টার অ্যাটাক দিয়েছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও আলঝারি জোসেফ। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিং করতে নেমে ৮৯ রানেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। এরপর ব্ল্যাকউড-জোসেফ ঘুরে দাঁড়ান। ১৫৫ রানের জুটি গড়ে কাউন্টার অ্যাটাক করেন দুজনে।
দলীয় ২৪৪ রানে আলঝারি জোসেফ আউট হয়ে গেলে নিমিষেই গুঁড়িয়ে যায় উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। তবে এর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন ব্ল্যাকউড। ২৩৯ বলে ১০৪ রানের নিখাদ টেস্ট ইনিংস খেলেন ব্ল্যাকউড। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন জোসেফও। তিনি সাজঘরে ফেরেন ৮৬রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে এই দুজন ছাড়া আর কেউ ১৫ রানও টপকাতে পারেননি। পাঁচজন আউট হয়েছেন ১০ রানের ঘর পেরোনোর আগেই। নীল ওয়েগনার সর্বোচ্চ দুই চার নেন।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। শনিবার তৃতীয় দিনেই তারা হারায় ১৫ উইকেট। কিউই বোলারদের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে দিশেহারা ছিলেন হোল্ডার-জোসেফরা। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে জন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন টিম সাউদি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ক্যারিয়ার সেরা ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা ৭ উইকেট হারিয়ে ৫১৯ রানের সময় ইনিংস ঘোষণা করে। উইলিয়ামসন একাই ২৫১ রান করেন। ৪১২ বলে ৩৪টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান কিউই অধিনায়ক। এ ছাড়া ৮৬ রান করেন টম লাথাম। উইন্ডিজের হয়ে তিনটি করে উইকেট শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচ।
খুলনা গেজেট/এএমআর