নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আগাম প্রচারণায় নেমে পড়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ঈদ শুভেচ্ছার নামে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ৩১টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ওলিগলি। তারাবিহ নামাজ শেষে মুসুল্লীদের ‘সালাম’ দেওয়ার নামে চলছে ভোটের প্রচার। সবমিলিয়ে তারিখ ঘোষণার পর থেকে জমজমাট হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ।
গত ৩ এপ্রিল খুলনাসহ দেশের ৫টি সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৬ মে। কেসিসি নির্বাচন নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় থাকলেও তারিখ ঘোষণার পর প্রচার আরও জোরালো হয়েছে।
নগরীর টুটপাড়া, মিয়াপাড়ার কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কে শোভা যাচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের শুভেচ্ছা ফেস্টুন। অনেকে সড়কে শুভেচ্ছা তোরণও তৈরি করেছেন। সেখানে ঈদ শুভেচ্ছার নামে নিজের প্রার্থীতা জানান দেওয়া হচ্ছে। অনেকে ভূমিকা ছাড়া সরাসরি কাউন্সিলর পদে ভোটারদের দোয়া চাইছেন।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ নেতাদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন। বিএনপির প্রার্থীদের তৎপরতা তেমন দৃশ্যমান নয়। ব্যানার-ফেস্টুনে না ঝুঁকি ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তারা।
নগরীর গোবরচাকা, বসুপাড়া একাংশ, ডালমিল মোড়, পৈপাড়া এলাকা মিলে ১৯নং ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের বেশিরভাগ সড়কে শ্রমিক লীগ নেতা ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লবের ঈদ শুভেচ্ছা ফেস্টুন দেখা গেছে। অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে পোস্টার লাগাতে। তবে ওয়ার্ডের বিএনপি প্রার্থীর তেমন প্রচার নেই।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেসিসির ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন বলেন, ১৫ ধরে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এখন রাস্তায় প্যানা ফেস্টুন নিয়ে নিজেকে পরিচিত করার চেষ্টা হাস্যকর। তবে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, দোয়া চাইছি।
একই দৃশ্য ২৪নং ওয়ার্ডে। ময়লাপোতা মোড় থেকে নিরালা পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেড এ মাহমুদ ডনের ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ও ফেস্টুন। বিপরীত অবস্থা বিএনপি প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টুর।
খুলনার আঞ্চলিক নির্বান কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণার নিয়ম নেই। কিন্তু এখনও যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, সেজন্য কেউ প্রচারণা চালালে আমাদের কিছু করার নেই। তফসিল ঘোষণার পরে সব ধরনের প্যানার, ফেস্টুন সরিয়ে নিতে প্রার্থীদের চিঠি দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ