এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চলাচলেও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। ঈদে মোটরসাইকেলে যারা বাড়ি যাওয়ার চিন্তা করছেন, তাদের জন্য এটি অনেক বড় সুখবর। এমনকি পদ্মা সেতুও পাড়ি দেওয়া যাবে। তবে নিজস্ব বাইক ব্যবহার করতে হবে। কোনো রাইড শেয়ারিং গাড়িতে চলাচল করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা। গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
এদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে সড়কপথে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে আইন মেনে মোটরসাইকেল চলাচল নিশ্চিত করার দাবি তাদের।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে মোট রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩টি। রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ২০ লাখ ৯৩ হাজার যানবাহনের মধ্যে বাইকের সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১টি। মোটরসাইকেলের একটি অংশ অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অর্থাৎ ভাড়ায় চলে। আরেকটি অংশ অনুমোদনহীনভাবে সরাসরি চুক্তিতে চলে।
সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল যেন চলাচল করতে পারে। এ ব্যাপারে বিআরটিএ পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। উভয়ের হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি গাড়ির প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কেউ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে পথে থাকা মোবাইল টিম মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এবারের ঈদে পদ্মা সেতু দিয়েও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। এজন্য সেতুতে আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের টোল আদায়ে থাকবে পৃথক ব্যবস্থা।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে সরকার। গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময়ও তা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গত ঈদুল আজহার সময় অনানুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেল পরিবহন চালু করা হয়।
খুলনা গেজেট/এইচ