খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

ঈদের আগে নেপিয়ার ঘাস খেয়ে মারা গেল ২৭টি গরু

গেজেট ডেস্ক

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় নেপিয়ার-জাতীয় ঘাস খাওয়ার পর একটি খামারের ষাঁড়, গাভি, বাছুরসহ ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের তাহাযিদ অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া খামারটির আরও বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ আছে।

খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম বলেন, তাঁর খামারে দুই শতাধিক ছোট-বড় গরু আছে। এর মধ্যে ষাঁড় বেশি। কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে তিনি ষাঁড়গুলো বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজস্ব খেত থেকে নেপিয়ার কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরই গরুগুলো অসুস্থ হতে শুরু করে। পরদিন রোববার দুপুর থেকে একের পর এক গরু মারা যেতে থাকে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে একটি ষাঁড় গরু মারা যায়। এ নিয়ে সব মিলিয়ে খামারের ২৭টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে দুটি দুধের গাভি ও দুটি বাছুর ছাড়া অন্য ২৩টি ষাঁড়। খামারির দাবি, গরুগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

জাহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওই দিন বাড়িতে না থাকায় খামার দেখাশোনা করার লোকজন খেত থেকে কচি ঘাস কেটে সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোকে খেতে দেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সাধারণত নেপিয়ার ঘাস আগের দিন কেটে রেখে পরদিন দেওয়া হতো। অথবা দুই ঘণ্টার মতো রোদে রেখে প্রাণীগুলোকে খেতে দেওয়া হতো। খামারের ২০৩টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টি গরুকে এই ঘাস খেতে দেওয়া হয়েছিল। মারা যাওয়ার পর খামারে এখনো চারটি গরু অসুস্থ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এসে মৃত গরুগুলো নমুনা ও ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।’ তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল আমার। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ঋণ করে খামারটি করেছিলাম।’

পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, বৃষ্টির সময় কচি ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। ঘাসের নমুনা ও মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এ ব্যাপারে খামারির সঙ্গে অধিদপ্তরের মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ খোঁজখবর রাখছে। তিনি আরও বলেন, খামারিদের গরুকে শুধু কাঁচা ঘাস দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া নেপিয়ার ঘাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে খেতে দেওয়া উচিত নয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!