খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

দিঘা ও ধামড়ার আরও কাছে ইয়াস, ১৫৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা (ভিডিও)

গেজেট ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ওড়িশায় ভারী বৃষ্টিপাতের ছবি ...সংগৃহীত।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ওড়িশায় ভারী বৃষ্টিপাতের ছবি ...সংগৃহীত।

বঙ্গোপসাগর থেকে আরও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আজ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনও এক সময়ে ওড়িশার ধামড়ার কাছে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল করে এগিয়ে যাবে। আছড়ে পড়ার সময় সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৫৫ কিমি।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার বুলেটিন অনুসারে, ওড়িশার ধামড়া থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে ইয়াসের কেন্দ্রস্থল। পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিমি পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইয়াস। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ইয়াস। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।

ভোর সাড়ে ৫টার বুলেটিন জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসছে। মনে করা হচ্ছে, ওড়িশার ধামাড়ার আশপাশেই তা আছড়ে পড়বে। বঙ্গোপসাগরের ২০ ডিগ্রি ৭ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ ডিগ্রি ৪৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় তা অবস্থান করছে। ওড়িশার ভদ্রক জেলার ধামড়া এবং বালেশ্বরের মধ্যবর্তী উপকূলভাগের দিকেই এগিয়ে আসছে। বুধবার সকালেই সেখানে হানা দিতে পারে ‘অতি শক্তিশালী’ ইয়াস। যার জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ওড়িশার উপকূলবর্তী ওই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।

‌সমুদ্র সৈকত দিঘার বর্তমান চিত্র … সংগৃহীত।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার ভোর ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হযে আজ বুধবার দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

https://www.facebook.com/watch/live/?v=225075475750447&ref=watch_permalink

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!