২৯২ রানের টার্গেট। শুরুতেই তাই ভাল কিছুর দরকার ছিল কিউইদের জন্য। সেই ভালো শুরুটাই এনে দিলেন দুই কিউই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র এবং উইল ইয়াং। নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট উইকেটে বাংলাদেশের পেসাররা যেন পিচের ফায়দা নিতেই ভুলে গেলেন। তিন পেসার শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব আর হাসান মাহমুদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি কিউই ওপেনারদের সামনে।
শুরুতে কিছুটা সাবধানী খেললেও যতই সময় গড়িয়েছে টাইগার পেসারদের ওপর ততই চড়াও হয়েছেন ইয়াং এবং রাচিন। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়েছিলেন ইয়াং। সেটাই ধরে রাখলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও। আর রাচিন তো বিশ্বকাপ থেকেই আছেন দুরন্ত ফর্মে।
পাওয়ারপ্লের দশ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৬১। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১১তম ওভারে এসে ভেঙেছে এই দুজনের জুটি। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আউট হন রাচিন।
এর আগে বুধবার ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচে আলো কেড়েছেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার। তার রেকর্ড গড়া ১৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে ২৯২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। পুরো দলের বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একাই খেলেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।
সবশেষ ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন এই টাইগার ক্রিকেটার। ফিফটি পেয়েছিলেন শেষ ২০১৯ সালে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় দলের প্রয়োজনে বা কোচের পছন্দে দলে এলেও ভাল কিছু করা হয়নি তার। তবে এমন দিনেও দলীয় রানের বিচারে হইয়ত খানিক অতৃপ্তি থেকেই যাবে বাংলাদেশের। শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৯১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপটাই হয়ত বড় হতে পাড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের জন্য।
খুলনা গেজেট/এনএম