হামাসের জ্যৈষ্ঠ নেতা সালেহ আল-আরোরিকে হত্যার পর ইসরায়েল ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বৈরুতে ওই হামলায় জ্যেষ্ঠ এ নেতাসহ হামাসের অন্তত ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, লেবাননের মাটিতে হামাসের উপপ্রধানকে হত্যা করার পর দেশটির শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে সেনাদের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী আত্মরক্ষা এবং হামলা সবদিকেই উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যে গত একদিনে অন্তত ১০টি হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ এক ঘণ্টায় অন্তত ৪ বার হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, এ দিন হিজবুল্লাহ’র হামলায় দখলদার বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছে। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয়।
জানা গেছে, লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে ইতোমধ্যে প্রচুর গুলি বিনিময় হয়েছে। হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, সেসব গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু হত্যাকাণ্ড, তাদের লেবাননের মাটিতে সহ্য করা হবে না এবং এর জবাব দেয়া হবে।
ইসরায়েলি মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বড় ধরণের প্রতিক্রিয়া আশঙ্কা করছেন। এই কারণেই নিজেদের সতর্কতার স্তর বাড়ানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম