সিনেমায় জায়েদ খানের অভিষেক হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর বহু সিনেমায় কাজ করেছেন। কিন্তু সেভাবে সফল হতে পারেননি। তিনি আলোচিত হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে। পরপর দুই মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও একবার এই পদের জন্য লড়ছেন জায়েদ খান। আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে মিশা সওদাগরের সঙ্গে মিলে প্যানেল গঠন করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে প্যানেল পরিচিতি দিয়েছেন, জানিয়েছেন বিজয়ী হলে শিল্পীদের জন্য কী করবেন।
এদিকে মিশা-জায়েদের প্যানেলে তাকালে দেখা যায় একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকাদের ছড়াছড়ি। তালিকায় আছেন রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস ও মৌসুমীর মতো নন্দিত নায়িকারা।
মিশা-জায়েদের বিপরীত প্যানেলে রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ। এ প্রসঙ্গেই চর্চায় উঠে আসছে একটি প্রশ্ন। তা হলো ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে অভিনয় করা নায়িকারা কেন জায়েদ খানের দলে? কোন জাদুতে তাদের নিজ দলে নিয়েছেন এই নায়ক?
কিছুটা মজার ছলেই জায়েদ খান বলেন, ‘নায়ক হিসেবে আমার কাছে তাহলে বেশি কারিশমা আছে। নায়কোচিত এমন লুক দিয়েছি, সবাই চলে এসেছেন।’
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। ইলিয়াস কাঞ্চনের নায়িকাদের কীভাবে নিজের দলে নিয়ে এসেছেন, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাস্তবে কাজকর্ম দিয়ে এমন ম্যাজিক দেখিয়েছি, সেই কাজ থেকেই সবাই আমার দলে চলে এসেছেন।’
একই রাতে এফডিসির ভেতরে লাঞ্ছনার শিকার হন চিত্রনায়ক ইমন। যিনি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। জানা যায়, লাঞ্ছনাকারী মিশা-জায়েদ প্যানেল সংশ্লিষ্ট এক যুবক। বিষয়টি জানতে চাইলে জায়েদ খান বলেন, ‘ওই সময় আমি ছিলাম না এফডিসিতে। তাই বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি না। এরকম কোনো ঘটনা যদি বহিরাগতদের মাধ্যমে হয়ে থাকে, অবশ্যই সেটা দুঃখজনক। সেটা ইমনের সঙ্গে ঘটুক কিংবা আমার সঙ্গে ঘটুক। সবাই আমার ভাই, সব শিল্পী সমান। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমি।’
সবশেষে নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করেন জায়েদ খান। তিনি জানান, শিল্পীদের জন্য কাজ করেছেন। সুতরাং তারা তাকে নিরাশ করবে না।
খুলনা গেজেট/ টি আই