ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেহেরান। ইসরায়েল সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স
ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দখলদার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এছাড়া সাইরেন শোনা যায় জেরুজালেমেও।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, সব ইসরায়েলি বোমা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
রয়টার্সের সাংবাদিকরা ইসরায়েলের পার্শ্ববর্তী জর্ডানের আকাশ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর দৃশ্য দেখেছেন। ইসরায়েলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে অন্তত শতাধিক ১০০ ক্ষেপণান্ত্র চালিয়েছি ইরান।
দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালানোর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে ইরান কয়েক ঘণ্টা আগেই সতর্কবার্তা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটল।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটের পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে তেহরান।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অন্তত ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরান। ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এ তথ্য জানিয়েছে। এ হামলাকে আইনগতভাবে বৈধ প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে ইরানের জাতিসংঘ মিশন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে ইরানের জাতিসংঘ মিশন জানায়, ইসরায়েল যদি এ হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া চালায় তাহলে আরও কঠিন জবাব দেয়া হবে।
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো বিমান উড্ডয়ন করেনি।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার পর জর্ডান তাদের আকাশসীমা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, বেন গুরিন বিমানবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ করছে না।
অন্যদিকে বৈরুতেও ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে।
ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দখলদার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এছাড়া সাইরেন শোনা যায় জেরুজালেমেও।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, সব ইসরায়েলি বোমা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। ওই মিসাইলগুলো ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল মাত্র ১২ মিনিট।
আলজাজিরা জানিয়েছে, তেলআবিবের আকাশে অগ্নিকুণ্ড ও মিসাইল দেখা গেছে। তবে এই মিসাইল ইরান থেকে এসেছে কি না সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মিসাইল হামলার তথ্য জানালেও ইরানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু বলা হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানের আকাশ দিয়ে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে। মিসাইলের কারণে জর্ডানেও সাইরেন বেজে ওঠে। ওই সময় অনেক মানুষ বাইরে বের হয়ে আসেন।
ইরানের মিসাইল হামলার মধ্যেই একটি বিবৃতি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে তারা বলেছে, ইরান এখনো মিসাইল ছুড়ছে এবং সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনী আরও বলেছে, যেসব বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে; সেগুলো হয় মিসাইল আটকানোর কারণে হচ্ছে অথবা আঘাত হানার কারণে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেডি