মাদারীপুরের শিবচর কুতুবপুর এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত বাসে খুলনার মোট ৯ জন যাত্রী ছিল। ৯ জন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে ৬ জনের সাথে যোগাযোগ করা গেলেও বাকী ৩ জনের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে ইমাদ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জানিয়েছেন।
রয়্যাল মোড়ের কাউন্টার মাস্টার শরীফ আল মামুন খুলনা গেজেটকে বলেন, ভোর ৪ টা ৫৫ মিনিটের দিকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের ২০৩ কোচ সোনাডাঙ্গায় যায়। সেখান থেকে আরও ৫ জন যাত্রী নিয়ে ৫ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৭ টার দিকে মাদারীপুর শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় পরিবহনটি। সকালে তিনি ৬ জনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেছেন, বাকী ৩ জনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বাসের ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের কোন সন্ধান মেলাতে পারেননি তিনি। র্যয়েল মোড়ের কয়েকজন যাত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছেন। প্রথমে তাদের সাথে যোগাযোগ করা গেলেও পরবর্তীতে তারা আর ফোন ধরছেন না। তিনি ওই যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, গাড়ির বাম পাশের সামনের টায়ার বাস্ট হয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
রয়্যাল মোড়ের যাত্রী ফয়সালের ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করা হলে বিপরীত দিক থেকে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, মোবাইল ফোনের মালিক গুরুতর আহত হয়েছেন। কোন কথা বলতে পারছেন না। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা তেমন ভাল নয় বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সোনাডাঙ্গা থেকে ওঠা ইমাদ পরিবহনের অপর যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, অলৌকিকভাবে তিনি বেঁছে গেছেন। তিনি পরিবহনের পেছনের ছিটে বসা ছিলেন। কিভাবে কি ঘটে গেল তা তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেনি। তবে তিনি সুস্থ আছেন বলে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরিবহনের অপরযাত্রী আসফাকুজ্জামান লিংকনের ছোট ভাই বিংসাম বলেন, তিনি খুলনার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে তাকে রাজবাড়িতে থাকতে হয়। বড় ভাই একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তাকে ঢাকা ও খুলনায় থাকতে হয়। আজ সকালে তার ঢাকায় আসার কথা। তার সাথে যোগাযোগ করার শত চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি রাজবাড়ি থেকে দুর্ঘটনা স্থলে যাওয়ার জন্য যাত্রা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম