আগামী ১৯, ২১ ও ২৮ জুন প্রতিদিন ১৩টি করে মোট ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে ইভিএম যাচাইয়ের সুযোগ দেবে ইসি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে (ইসি)। এ লক্ষ্যে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে প্রয়োজনে তাদের টেকনিক্যাল পারসনসহ ইভিএম যাচাই করে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘ইভিএম যাচাইয়ের জন্য আগামী ১৯, ২১ ও ২৮ জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল পারসনসহ একটি দল থেকে সর্বোচ্চ চারজনকে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। এদিন তারা ইভিএম খুলে যেকোনোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারবেন।‘
রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে ইসি। এ ক্ষেত্রে দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম/প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আউয়াল কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নিয়োগ পাওয়ার পরদিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন শুরু করে নতুন কমিশন। দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থার দায়িত্বভার পাওয়ার পর পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
সেই আলোকে গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। পরে পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।
পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে বসার কথা থাকলেও তার আগেই তাদের ইভিএম যাচাইয়ের জন্য চিঠি পাঠায় ইসি। তবে পরে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির করা তালিকা অনুযায়ী, আগামী ১৯, ২১ ও ২৮ জুন প্রতিদিন ১৩টি করে নিবন্ধিত দলকে এ সুযোগ দেবে।
১৯ জুন যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
২১ জুন যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।
২৮ জুন যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে ১০০ আসনে ইভিএমে ভোট করতে চায় বলে জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে।