ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস কর্ণারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য এমন বক্তব্য প্রদানের পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে কি না খতিয়ে দেখা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একটি সুশৃঙ্খল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবির পক্ষে সবসময় কাজ করে যাওয়া সংগঠন। শাখা ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল লেনদেন অনলাইনে আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু, আমরা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের এহেন সফলতাকে বিতর্কিত করতে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত- বিএনপির এজেন্টরা উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম তার বক্তব্যে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করেছে তা মানহানিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশকে ঘোলাটে করা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভ্যানগার্ড ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্যই তিনি এমন বক্তব্য প্রদান করেছে বলে আমরা মনে করি। তার এহেন বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি-জামায়াত এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার উদ্দেশ্যে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই উদ্দেশ্যকে কোনোদিন বাস্তবে রূপ দিতে দিবে না শাখা ছাত্রলীগ। অসাম্প্রদায়িক উন্নত-আধুনিক-স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে কাজ করে যাবেন বলে জানান তারা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম এই অভিযোগ তুলেন।
খুলনা গেজেট/কেডি