ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বহুল আলোচিত ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগনেত্রী ও তার সহযোগীদের এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অফ কন্ডাক্ট আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী এ ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।
শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এন্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
তিনি বলেন, ‘আজ বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরি নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি এবং হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছিল তার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ডস কোড অব কন্ডাক্ট এর আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ ধারা-৮ মোতাবেক যে সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।’
ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত এইচ এম আলী হাসান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মাওয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
খুলনা গেজেট/এমএম