ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে সেভিয়া। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও লুক ডি ইয়ংয়ের জোড়া গোলে নেরাজ্জুরিদের ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে হুলেন লোপেতেগির শিষ্যরা। দল জিতলে নায়কের বেশে মাঠ ছাড়তে পারতেন রোমেলু লুকাকু। কিন্তু রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে ‘ভিলেন’ হয়ে রইলেন সান সিরোর বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচে ‘দুই গোল’ করেছেন তিনি। একটি পেনাল্টি থেকে। আরেকটি আত্মঘাতি। এই আত্মঘাতি গোলেই কপাল পুড়েছে ইন্টারের।
৭৪তম মিনিটে নেরাজ্জুরিদের ডি-বক্সের জটলার মধ্যে বাই-সাইকেল কিক নেন দিয়েগো কার্লোস। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের এই কিক দুর্ঘটনাবশত লুকাকুর পায়ে লেগে ঢুকে যায় ইন্টারের জালে। এরপর ম্যাচের বাকি সময় চেষ্টা করেও গোলটি শোধ করতে পারেনি আন্তনিও কন্তের শিষ্যরা। তার আগে ম্যাচে সমতা ছিল ২-২ ব্যবধানে।
২১ আগস্ট (শুক্রবার) দিবাগত রাতে জার্মানির কোলনের ফাইনালে ম্যাচের ৫ম মিনিটে লুকাকুর পেনাল্টি কিক থেকে এগিয়ে যায় ইন্টার। শুরুতে এগিয়ে গেলেও অবশ্য ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে সরাসরি ইউরোপা লিগে যোগ দেওয়া ইন্টার। ১২তম মিনিটে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে ইউরোপা লিগ ‘স্পেশালিস্ট’রা। জেসুস নাভাসের লং পাস থেকে হেডে দুর্দান্ত গোল করে সেভিয়াকে সমতায় ফেরান ডি ইয়ং।
৩৩তম মিনিটে আবার ম্যাচের স্পটলাইট কেড়ে নেন এই সুইস ফরোয়ার্ড। এভার বানেগার নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে লাফিয়ে ওঠে আবারও হেডে ইন্টারের জালে বল জড়িয়ে দেন ডি ইয়ং। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সেভিয়াও। প্রথমার্ধেই চার গোল হওয়া ম্যাচে কন্তের দল সমতায় ফিরে ৩৫তম মিনিটে। মার্সেলো ব্রোজোভিচের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল শোধ করেন দিয়েগো গডিন।
বিরতির পর দু’দলই লড়াই করেছে সমানতালে। কিন্তু লুকাকুর আত্মঘাতি সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি ইতালিয়ান জায়ান্টরা। শেষ মুহুর্তে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি হিসেবে নামা মোজেজ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।
এই নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠতম ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতল সেভিয়া। তারমধ্যে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিক শিরোপাও জিতে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
খুলনা গেজেট/এএমআর