২০১২ সালের ইউরো ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল স্পেন। চার বছর পর সেই হারের শোধ নিয়ে শেষ ষোলো থেকে লা রোজাদের বিদায় করে আজ্জুরিরা। এবার তাদের দেখা হচ্ছে সেমিফাইনালে। দুই দলই ফর্মের তুঙ্গে। টানা ৩২ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ইতালি, আর টানা দুই ম্যাচে পাঁচ গোল করে ইতিহাস গড়া স্পেন শেষ আটের বাধা পেরিয়েছে টাইব্রেকারে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই সেমিফাইনালে শক্তিমত্তায় কে এগিয়ে, তা জানালেন ইতালি ও স্পেনে লম্বা সময় কোচিং করানো হোসে মরিনহো।
ইন্টার মিলানকে সাফল্য এনে দেওয়া কোচ মরিনহো ইতালিতে ফিরেছেন রোমার হয়ে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদেও তার গল্পটা ছিল সফলতার। এই অভিজ্ঞতার আলোকে সেমিফাইনালে ইতালিকে ফেভারিট মানছেন ৫৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচ। অবশ্য ইউরোতে তার নতুন ক্লাব রোমার ডিফেন্ডার লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলার ইনজুরি ভাবাচ্ছে তাকে।
সেমিফাইনালে কোন দল এগিয়ে, সেই ব্যাখ্যা দিলেন মরিনহো, ‘তারা স্পিনাজ্জোলাকে হারালো, এটা তাদের ও আমার জন্য দুঃসংবাদ। আমি তাকে ছয় মাসের জন্য হারালাম। এমারসন ভালো খেলোয়াড়, কিন্তু স্পিনাজ্জোলা দারুণ খেলছিল। তাদের চার ডিফেন্ডার সত্যিই ভালো খেলছিল। অনেক প্রতিভা ইতালির। স্পিনাজ্জোলার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তারা কতটা আত্মবিশ্বাসী। আমি বলছি না যে ফাইনালে তাদের খেলার নিশ্চয়তা শতভাগ। আমি কোনোভাবে এটা বলতে পারি না কারণ ফুটবল ও স্প্যানিশ দলের জন্য আমার অনেক শ্রদ্ধা।’
মরিনহো আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি না স্প্যানিশ দল ইতালির দলের মতো শক্তিশালী। কিন্তু তাদের প্রতিভা আছে এবং খেলার একটা ধরন আছে। তারা প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে সমর্থ। এটা বড় একটি সেমিফাইনাল। এটি ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ম্যাচ যখন স্পেন ইতালিকে ধসিয়ে দিয়েছিল।’
খুলনা গেজেট/কেএম