বছরের শুরু থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে খুলনা মহানগরীর ইজিবাইক চালকেরা। অথচ সোমবার (৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত তাদের এই প্রস্তাবিত বর্ধিত ভাড়া আদায়ের অনুমতি দেয়নি খুলনা সিটি কর্পোরেশন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে খুলনা মহানগরী ইজিবাইক শ্রমিক লীগের।
সরেজমিনে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, গল্লামারী, ময়লাপোতা মোড় এবং রূপসা ঘাট ঘুরে জানা যায়, যাত্রীদেরকে প্রস্তাবিত বর্ধিত ভাড়ার তালিকা দেখিয়েই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন চালকেরা। সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেই, অথচ বেশি ভাড়া চাইছেন কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে ইজিবাইক চালক মাহাতাব বলেন, “ময়লপোতা থেকে গল্লামারী রিক্সায় গেলে তো ২০ টাকার নিচে যাইতে পারবেন না! পথটা তো হিসাব করবেন। ১০ বছর আগে আমার ঘর ভাড়া আর এখন ঘর ভাড়া কি এক আছে?’’
ইজিবাইক চালক রাকিব বলেন, “সব কিছুর দাম এখন বাড়তি। আমাদের গাড়ি ভাড়াও আগের চেয়ে বাড়ছে। আগে চাল কিনে খাইতাম ৩৬ টাকা, সেই চাল এখন হইছে ৫০ টাকা। ভাড়া না বাড়িয়ে আমাদের উপায় কি!”
চালক আবুল হোসেন বলেন, ‘‘সব ইজিবাইক চালক ভাড়া বেশি নিচ্ছে তাই আমিও নিচ্ছি, আর যাত্রীরাও দিচ্ছেন। সবাই বেশি নিচ্ছে আমি কম নিলে আমারে তো গালাগালি দিবে অন্য ড্রাইভাররা।”
ব্যবসায়ী তাসকিনুল ইসলাম জানান, ‘‘সিটি কর্পোরেশন এর অনুমতি ছাড়া বেশি ভাড়া আদায় করলে এটা তো সম্পূর্ণ বেআইনি। তাছাড়া ভাড়া বাড়ানোর আগে কর্তৃপক্ষের উচিত সাধারণ যাত্রীদের উপর জরিপ করে নেওয়া।”
নিরালা নির্জন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফাতেহা বলেন, “আগে গল্লামারী থেকে ময়লাপোতার ভাড়া ছিলো ৫ টাকা, আর এখন নিরালা থেকেও উঠলে গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। কারণ জানতে চাইলে তারা বলছে সিটি কর্পোরেশন থেকে আমাদের অনুমতি নেওয়া।”
খুলনা গেজেট/এমএইচবি