ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে দুটি শর্ত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রনীয় সেনা প্রত্যাহার এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আলোচনা থেকে কিয়েভ সরে এলে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (১৪ জুন) মস্কোয় রুশ রাষ্ট্রদূতদের এক বৈঠকে পুতিন রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের চার অঞ্চল—দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া থেকে ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এ ছাড়া ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা ছেড়ে দিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
পুতিন বলেন, যখনই কিয়েভ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে তখনই আমাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি আলোচনা শুরু করার আদেশ দেয়া হবে। বলতে গেলে একই মিনিটে এটা করা হবে।
তবে রুশ প্রেসিডেন্টের এই শর্ত ভালোভাবে নেয়নি ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক পুতিনের এই প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ ছলনা এবং ‘কমন সেন্সবিরোধী’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সশস্ত্র আগ্রাসনের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন করেছেন পুতিন। এখন তিনি নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন, যা অযৌক্তিক।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সেনা পাঠান পুতিন। এরপর দুই বছর পার হয়ে তিন বছর চললেও এখনো ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি পশ্চিমা কয়েকটি দেশের নেতাদের হুমকি-ধমকির জেরে এই উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এসব হুমকি মোকাবিলায় পরমাণু অস্ত্রের মহড়া পর্যন্ত পরিচালনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
খুলনা গেজেট/কেডি